রাত ১১ টায় আমরা ঢাকা থেকে রওনা হয়েছিলাম। বিমান বাহিনীর সি ১৩০ জে বিমানে। এটি মুলত দুর্যোগকালীন সময়ে দেশের মধ্যে মালামাল পৌছে দেয়ার জরুরি বিমান। তুরস্কে ভুমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সহযোগীতা নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের এই উদ্ধারকারী বিমান। প্রথম ৯ ঘন্টায় এসে পৌছালাম আবুধাবি। বিমানের তেল শেষ। আবার জ্বালানি নিতে অপেক্ষা। সবাই জানেন এ ধরনের কার্গো বিমানে বসার জন্য আলাদা করে কোন আসন নেই। নেই টয়লেটও। এরমধ্যেই গাদাগাদি করে বসেছি আমরা ৬০ জন। সেনাবাহিনীর ১০ জনের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম, ইঞ্জিনিয়ারিং কোর আর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। পুরে টিমের নেতৃত্বে আছেন উইং কমান্ডার মামুন আর লে. কর্নেল রুহুল আমিন। উন্মুখ হয়ে আছেন তারা কখন পৌঁছাবেন তুরস্ক – সিরিয়া সীমান্তে, কখন ঝাঁপিয়ে পড়বেন ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সাহায্যে , এইজন্য। এই টিমে একমাত্র সংবাদকর্মী আমি। সেখানে থাকার জায়গা নেই , খাবার নেই, যাতায়াতের ব্যবস্থা নেই। চারিদিকে শুধু লাশ আর লাশ। এরমধ্যে কাজ করবো আমরা। বাংলাদেশের মানুষ যে তুরস্কের ঘনিষ্ট বন্ধু তার প্রমান দেব। এটিএন বাংলার প্রতিটি সংবাদে কাল থেকে সবিস্তার আর লাইভ থাকবে তুরস্কের সর্বশেষ খবর।