Search
Close this search box.

তুরস্কের ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকার সংবাদ সংগ্রহ করতে প্রথম সাংবাদিক হিসেবে যাচ্ছেন এটিএন বাংলার কেরামত উল্লাহ বিপ্লব

তুরস্কের ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকার সংবাদ সংগ্রহ করতে প্রথম সাংবাদিক হিসেবে যাচ্ছেন এটিএন বাংলার কেরামত উল্লাহ বিপ্লব
ছবি: কেরামত উল্লাহ বিপ্লব

তুরস্কের ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকার সংবাদ সংগ্রহ করতে প্রথম সাংবাদিক হিসেবে যাচ্ছেন এটিএন বাংলার কেরামত উল্লাহ বিপ্লব। বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ অপারেশন্স ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের স্কোয়ান লীডারের পক্ষে প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার তৌসিফ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সরকারী আদেশে সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লবকে তুরস্ক গমনাগমণের জন্য ৮ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তুরস্কে অবস্থান ও প্রত্যাবর্তনে সরকারী আদেশ প্রদান করা হয়।

তুরস্কে ভুমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম এবং সাহায্যর জন্য বাংলাদেশ সরকার ৪৬ সদস্যর একটি উদ্ধারকারী দল এবং ১৪ সদস্যর বিমান বাহিনীর একটি ক্রু দলের সাথে তিনি  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বিমান বাহিনীর একটি সি- ১৩০ জে পরিবহণ বিমানযোগে রাতে ঢাকা ত্যাগ করে রওনা হয়েছেন তুরস্কের উদ্দেশে। ঢাকা থেকে ১১ ঘন্টার সরাসরি ফ্লাইটে দুর্গত জনপদে পৌঁছে সংবাদ সংগ্রহের পাশাপাশি মানবিক কাজে তিনি অংশ নিবেন। সেখানে অবস্থান করা বাংলাদেশীদের খোঁজ খবর নিবেন। তিনি  তার ফেসবুক পোষ্টে নিরাপদ যাত্রার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব বলেন , ৪ ঘন্টার প্রস্তুতিতে রাত ১০টায় বাংলাদেশের একটি বিমানে চড়ে তারা তুরস্কে যাবেন। তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে সেখানকার সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্য চেয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে তুরস্কে একটি সম্মিলিত সাহায্যকারী দল পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন ,  সম্মিলিত উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহের কাজে সরকারী আদেশে অন্তর্ভুক্ত করায় সম্মানিত বোধ করছি।

উল্লেখ্য ,  সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব ইরাকের যুদ্ধের সময় ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত লিবিয়া থেকে বাংলাদেশী শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে  মিশর ও তিউনিসিয়া সিমান্তে বিশেষ ভুমিকা রাখায় তাকে দেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবাসী বান্ধব মানবিক সাংবাদিক হিসেবে বলা হয়ে থাকে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক ও প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।